
মঙ্গলবার তার সম্পর্কে তথ্য দিতে ১০ মিলিয়ন ডলার ঘোষনা করেছে দেশটি।
ডেপুটি অ্যাটর্নী জেনারেল লিসা মোনাকো বলেন, " সাইবার অপরাধীরা হাজার হাজার নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা ডিভাইসের একটি দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ম্যালওয়্যার আক্রমন করে। " অভিযুক্ত গুয়ান তিয়ানফেং বা অন্য যে কেউ যারা বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তার জন্য হুমকি তাদের রুখতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস”।
এফবিআইয়ের সহকারী পরিচালক বায়ার্ন ভর্ণড্রেন বলেন, "কার্যকরী পদক্ষেপ, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং বিশেষ করে ব্যাক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সফোসকে সাথে নিয়ে অংশীদারিত্বের ভিত্ত্বিতে সাইবার হামলা রুখতে কাজ করেছে এফবিআই যা নির্ভরযোগ্য এবং কার্যকর অংশীদার হিসাবে এফবিআইএর সুনাম বৃদ্ধি করে। এই পদক্ষেপ ইন্টারনেটে যুক্ত মার্কিন নাগরিক এবং তাদের ব্যবসাকে আরো নিরাপত্তা বিধান করে।
বিষয়টি নিয়ে অক্টোবরে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্টান সফোজ। তার মধ্যে “প্যাসিফিক রিম” নামে দীর্ঘ ৫ বছরের একটিও রয়েছে। এই প্রতিবেদনে সফোজ পিআরসি বেজড অ্যাডভান্সড পারিসিসটেন্ট থ্রেটস গ্রুপগুলো কিভাবে বছরের পর বছর নেটওয়ার্কিং যন্ত্রপাতিগুলোকে টার্গেটে পরিনত করেছে তার বিস্তারিত দেখানো হয়েছে যেখানে গুয়ানের ব্যবহৃত (CVE 2020-12271) এর বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এফবিআইয়ের ইন্ডিয়ানাপোলিস ফিল্ড অফিসের স্পেশাল এজেন্ট ইনচার্জ হার্বার্ট জে স্ট্যাপলেটন সফোসের ভূয়শী প্রশংসা করে বলেন, এই সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলায় সফোজ অধিক পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। নির্দিষ্ট দূর্বলতাটি সফোস দ্রুত চিহ্নিত করেছে। আমাদের সাইবার স্কোয়োড্রের সাথে সোফোসের প্রচেষ্টায় এই হুমকি মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। যদি সফোজ বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিতো তাহলে আরো মারাত্বক ক্ষতির সম্ভাবনা ছিলো।
সফোজের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এফবিআই সরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্টানের ডিভাইস এবং নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতি সফোজের সাথে পার্টনারশিপে তদন্তের কাজ শুরু করে। সবশেষ, চাইনীজ বংশোদ্ভূত গুয়াং তিয়ানপেন এবং সিচুয়ান সাইলেন্স কোম্পানিকে অভিযুক্ত করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আপনার মতামত লিখুন :