অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশে বিনিয়োগে সমস্যাগুলো তুলে ধরেছেন বিদেশি কোম্পানির প্রতিনিধিরা। জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সব সংস্থাকে এক ছাতার নিচে আনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (কোরিয়ান ইপিজেড) জমি অধিকার সমস্যা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সমাধানের নির্দেশনাও দেন।
গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ বিদেশি বিনিয়োগকারী সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এসব নির্দেশনা দেন। কিহাক সাং এ সময় বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি দ্রুত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশের বৃহত্তম বন্দরের ধীর ‘টার্নঅ্যারাউন্ড টাইম’ উচ্চমানের ফ্যাশন পোশাকের অর্ডার না পাওয়ার একটি প্রধান কারণ। কিহাক সাং এবং ব্রিটিশ বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ এ মাতিন সব বিনিয়োগ সংস্থাকে এক ছাতার নিচে আনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এক-স্টপ সেবা নিশ্চিত করা যাবে বলে উল্লেখ করেন তারা। এ সময় কোরিয়ান ইপিজেডের ভূমি সমস্যার বিষয়টিও প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা কিহাক সাংকে জানান, শিল্পাঞ্চলে এফডিআইয়ের প্রধান বাধা হিসেবে চিহ্নিত কোরিয়ান ইপিজেডের জমি সমস্যাটি আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমাধান করা হবে। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) প্রধান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনকে পাঁচটি বিনিয়োগ সংস্থাকে এক অফিসের অধীনে আনতে বলেন। এ ছাড়া বিশেষদূত লুৎফে সিদ্দিকী চট্টগ্রামকে একটি শীর্ষ বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে ধারাবাহিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন বলেও জানান।
প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকার গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে এবং তার বিশেষদূত লুৎফে সিদ্দিকী এ বিষয়ে কাজ করছেন। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা পরিচালনা করা ডিউহার্স্টের পরিচালক পল অ্যান্থনি ওয়ারেন, ইন্ডিটেক্সের কান্ট্রি হেড জেভিয়ার কার্লোস সান্তোনজা ওলসিনা প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :